গৌতম দত্ত, (মানবাজার, পুরুলিয়া)
“এ বড়ো সুখের সময় নয়, এ বড়ো আনন্দের সময় নয়”। পরপর দুদিন দুজন। শাঁওলি মিত্র ও নারায়ণ দেবনাথ। একে একে নিবিছে দেউটি। এঁদেরই বা আর কিভাবে ধরে রাখা যায়? একজনের ৮৪ আরেকজনের ৯৭। শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের মেয়ে বলে নয়, মিত্র পরিবারের এঁদের মতো বাচিক ক্ষমতা, সর্বোপরি নাট্য আন্দোলনে এই পরিবারের ভূমিকা ও অবদানের মূল্য এঁরা পেয়েছেন কি? আমার একটাই প্রশ্ন, প্রকৃতই যদি পেয়ে থাকেন, শম্ভু মিত্রের মৃত্যুর কথা কি আমরা ভুলতে পারবো? একইভাবে মৃত্যুর কথা কাউকে না জানানোর ইচ্ছেপত্র লিখে শাঁওলি মিত্রকেই বা এভাবে চলে যেতে হল কেন? এঁদের নিয়ে এসব ভাবা আমাদের চলবে না। আর চলবে না বলেই, এ ধরণের সৃষ্টিশীল ও প্রতিবাদী মানুষ আর জন্মাবেন না। নারায়ণ দেবনা -এর বড়ো অবদান বাংলার নিষ্পাপ শিশু-কিশোরদের সত্য ও সুন্দরের পথে মনের বিকাশ ঘটানো। যেটা সিলেবাস ভিত্তিক পাঠ্যপুস্তকের দ্বারা কোনোভাবেই সম্ভব নয় এবং এই এই কাজে তিনি সফল। সফল বলেই মনুষ্যত্বযুগের ছিঁটেফোঁটা দু’ একজনকে আজও চোখে পড়ে।
শেয়ার করুন